কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ


অপরুপ সৌন্দর্যের লীলা ভূমি পটুয়াখালী জেলার সাগর কন্য কুয়াকাটা। এটি দক্ষিন এশিয়ার একটি মাত্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়...

সমুদ্রের পেট চিড়ে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হাড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। কর্মব্যস্ত জীবন কে কিছুদিনের জন্য ছুটি দিয়ে ঘুরে আসুন কুয়াকাটা আর দেখে আসুন নীরবে নিভৃতে দাড়িয়ে থাকা সুন্দর একটি সৈকত...।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ


কুয়াকাটা ভ্রমণ বিষয়ে কিছু তথ্যঃ-
রাস্তা ভাঙ্গা, অনেকগুলা ফেরি... এসব অজুহাত আর চলবে না। এসব কিছুই নেই। রাস্তা মসৃন, পটুয়াখালি হয়ে গেলে কোন ফেরি নেই।

কি ভাবে যাবেনঃ আমি বলবো জলপথে যান। ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৬.৩০-৭.০০ পটুয়াখালী, ৫টায় খেপুপাড়া/আমতলীর এবং রাত ৮.৩০ মি: এ ৫/৬ টি লঞ্চ বরিশালের উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া ডেক ৩০০/৩৫০ টাকা, কেবিন ১১০০/২২০০ টাকা (সিংগেল/ডাবল)।

বরিশাল হয়ে আসলে পরদিন খুব ভোরে বাস এর টিকেট কাটুন। এ বাসগুলো সরাসরি কুয়াকাটা যায়। ভাড়া ২৪০ টাকা। সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা। রাস্তা খুবই ভালো। এ রাস্তা দিয়ে গেলে লেবুখালি ফেরি পার হতে হবে।
তবে ফেরিমুক্তভাবে যদি যেতে চান তবে পটুয়াখালি/আমতলী হয়ে যান। পটুয়াখালি নেমে বাস এ যেতে পারেন। ভাড়া নেবে ১৬০ টাকা। এছাড়াও মোটর সাইকেল বা মাইক্রোবাসে যেতে পারেন। 
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ

এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি বাসেও কুয়াকাটা যাওয়া যায়। গাবতলি/কল্যানপুর থেকে রাতে সাকুরা পরিবহনসহ বেশ কটি বাস ছেড়ে যায়। পরদিন সকাল ৭ টার দিকে কুয়াকাটা পৌছায়। ভাড়া ৭৫০-১২০০ টাকা। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা বা বরিশাল-কুয়াকাটা রাস্তা : রাস্তা খুবই ভালো। কোন ভাঙ্গা নেই।

ফেরি সমাচারঃ বরিশাল কুয়াকাটার মধ্য কদিন আগেও ৪ টি ফেরি ছিলো। এখন আছে মাত্র ১ টি, লেবুখালি ফেরি। বাকিগুলো ব্রিজ হয়ে গেছে। পটুয়াখালি কুয়াকাটার রাস্তায় কোন ফেরী নেই।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ

কোথায় থাকবেনঃ
কুয়াকাটার হোটেলঃ কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বেশ কিছু হোটেল গড়ে উঠেছে। একেবারে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার হোটেলও পাবেন এখানে। নীচের কিছু মান সম্পন্ন হোটেলের ঠিকানা ও ভাড়া দেয়া হলো। আশা করি সবার কাজে লাগবে।
ভাড়ার ব্যাপারে একটা কথা। হোটেলে গুলোর পাবলিশড রেট এখানে দেয়া হলো তবে কুয়াকাটাতে বছর ভর ৪০-৫০% ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই হোটেল নেবার সময় বারগেইন করবেন।
কুয়াকাটা থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মিসরিপাড়ায় রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় এই বৌদ্ধ মূর্তিটি...।
কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দিরে গৌতম বুদ্ধের সোনালি রঙের সাড়ে ৩৭ মন ওজনের বিশাল ধাতব মূর্তি...।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন...।

আরেকটি কথা পর্যটন বাদে বাকী সবাই বড় বন্ধের সময় ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তাই যাবার আগে কনফার্ম হয়ে যাবেন ভালো করে। পারলে ফোনের কথা রেকর্ড করে রাখবেন।
১. হোটেল বনানী প্যা লেস, পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১-৩৬৭৪১৯২
ভাড়া : নন এসি টুইন/কাপল : ১২৫০/- (নীচতলা), ১৬৫০/- (উপরের তলা)
ডরমেটরী : ৪০০০/- (৮ বেড)

২. ঝিনুক ডাক বাংলো, সাগর পাড়, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১৪-৫৮৫৬৩৬
ভাড়া : ৫০০-১৫০০/-

৩. ইয়োথ ইন (পর্যটন করপোরেশন), কুয়াকাটা, ফোন : ০১৭১২-৫৬৫৭৬১
নন এসি টুইন : ১৬০০/-, নন এসি ৪ বেড- ১৬০০/- এসি টুইন : ২৫০০/-

৪. হোটেল স্কাই প্যা লেস, পর্যটন এরিয়া, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭২৭-৫০৭৪৭৯
ভাড়া : নন এসি কাপল : ১২০০/- , নন এসি টুইন : ১৪০০/-

৫. হোটেল নীলাঞ্জনা, রাখাইন মার্কেট, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১২-৯২৭৯০৪
ভাড়া : নন এসি সিঙ্গেল : ৮৫০/- , নন এসি টুইন : ১৪৫০/-

৬. বিশ্বাস সি প্যালেস হোটেল, বেড়ি বাধ, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭৩-০০৯৩৩৫৬
ভাড়া : নন এসি টুইন : ১৮০০/-, ৩ বেডেড রুম : ২০০০/-

৭. সাগর কণ্যা রিসোর্ট লি:, পশ্চিম কুয়াকাটা, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১১-১৮১৭৯৮
ভাড়া : নন এসি কাপল : ১২০০/- (নীচতলা), ১৫০০/- (উপরের তলা) , নন এস টুইন : ১৮০০/-

৮. হোটেল কুয়াকাটা ইন, সদর রোড, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭৫-০০০৮১৭৭
ভাড়া : ইকোনমি টুইন/কাপল : ১৫০০/-
ইকোনমি ফ্যামিলি রুম : ১৮৫০/- (১ ডাবল, ১ সিঙ্গেল)

৯. কিংস হোটেল,সাগর পাড়, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭১৩-২৭৭৬৩০
ভাড়া : ইকোনমি ডাবল : ৬০০/-, নন এসি ডিলাক্স : ১০০০/-

১০. হোটেল অ্যারোবা প্যালেস, জিরো পয়েন্ট, কুয়াকাটা
ফোন : ০১৭৩৫-৩৭৮১৪১, ০১৭৩০-২২৮৪৩৩
ভাড়া : ৫০০-১৫০০/-

আর আপনি যদি আপ এন্ড কোন হোটেল চান তবে কুয়াকাটা গ্রান্ড বা শিকদার রিসোর্টস এর ভিলাজ এ থাকতে পারেন।
খাবেন কোথায়ঃ মাছ খাবার জন্য কুয়াকাটা একটি আদর্শ জায়গা। বীচ এর কাছে কয়েকটি অস্থায়ী দোকানে মাছ নিয়ে বসে থাকে। দামাদামি করে ঠিক করে দিলে সামনে বসে ভেজে/গ্রীল বা রেধে দেবে।
এছাড়া হোটেল ক্ষেপুপাড়া, তরঙ্গ রেষ্টুরেন্ট, কুয়াকাটা বীচ রেস্টুরেন্ট সহ নানান রেষ্টুরেন্ট এ খেতে পারেন। মানুষ বেশী হলে ফ্রিজে রাখা মাছ দাম ঠিক করুন এরপর রান্না করে দিতে বলুন। এছাড়া জেলেদের কাছ থেকে তাজা ইলিশ কিনে রেষ্টুরেন্ট এ দিলে ওরা রান্না করে দেবে কিছু টাকার বিনিময়ে।
কুয়াকাটা সৈকত...
                                                                 কুয়াকাটা সৈকত...
তবে যাই করুন না কেনো লেবুর চর বীচ এ গিয়ে মাছ কিনে তা রান্না করিয়ে মোটা চালের ভাত দিয়ে খেতে ভুলবেন না। বিকেলের দিকে ২০০ টাকা দিয়ে একটা মোটরসাইকেল নিয়ে দুজন চলে যান লেবুর চর। একটা দোকানে গিয়ে মাছ বাছাই করুন এবং রেধে দিতে বলনু। সাথে গরম ভাত। ওপেন বীচে এভাবে একটা ডিনার করলে একটা জনমে ভুলতে পারবেন না সে খাবারের স্বাদ বা পরিবেশ।

কি কি দেখবেনঃ বেশি ঘোরার দরকার নেই। একটা মোটরসাকেল ভাড়া নিন। ওরাই ঘোরাবে। প্রথম দিন গঙ্গামতি, কাকড়ার চর আর বৌদ্ধ মন্দির হয়ে বিকেলে লেবুর চর যান। ভাড়া নেবে দুজন ৪০০-৫০০ টাকা। প্রয়োজনে বা দূরে কোথাওয গেলে পর্যটন পুলিশের সহযোগিতায় মটর সাইকেল ভাড়া করুন।
পরদিন সুর্যদয় দেখার জন্য কোন মোটরসাইকেল চালকের সাথে কথা বলে রাখুন। খুব সকালে এসে নিয়ে যাবে। ভাড়া নেবে ২ জন ২০০ টাকা। আর ২০০ টাকা দিয়ে গ্রুপ ট্যুর এ ফাতরার বন ঘুরে আসুন। ভালো লাগবে।
আর হ্যা নুতন নির্মিত ইলিশ পার্কটিতে একটি সন্ধ্যা ঘুরে আসতে ভুলবেন না। আপনি অর্ডার করলে এরা বড় একটি ইলিশের পেটে বসে ইলিশ খাবার ব্যাবস্থা করবে।

তদুপরী কিছু দর্শনীয় স্থান সমূহ :
সমুদ্র সৈকতঃ
কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।

কুয়াকাটার সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সারা বছরই দেখা মিলবে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।

শুঁটকি পল্লীঃ
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে আছে জেলে পল্লী। এখানে প্রচুর জেলেদের বসবাস। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে চলে মূলত শুঁটকি তৈরির কাজ। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে এনে সৈকতেই শুঁটকি তৈরি করেন জেলেরা। কম দামে ভালো মানের শুঁটকিও কিনতে পাওয়া যায় এখানে।

গঙ্গামতির জঙ্গলঃ
কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত শেষ হয়েছে পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খালে। এখান থেকেই শুরু হয়েছে গঙ্গামতির জঙ্গল। অনেকে একে গজমতির জঙ্গলও বলে থাকেন। নানান রকম বৃক্ষরাজি ছাড়াও এ জঙ্গলে আছে বিভিন্ন রকম পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদি।

ক্রাব আইল্যান্ডঃ
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূবদিকে গঙ্গামতির জঙ্গল ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল আছে ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। এ জায়গায় আছে লাল কাঁকড়ার বসবাস। নির্জনতা পেলে এ জায়গার সৈকত লাল করে বেড়ায় কাঁকড়ার দল। ভ্রমণ মৌসুমে (অক্টোবর-মার্চ) কুয়াকাট সমুদ্র সৈকত থেকে স্পিড বোটে যাওয়া যায় ক্রাব আইল্যান্ডে।

ফাতরার বনঃ
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পশ্চিম পাশে নদী পার হলেই সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল, নাম তার ফাতরার বন। সুন্দরবনের সব বেশিষ্ট এ বনে থাকলেও নেই তেমন কোন হিংস্র প্রাণী। বন মোরগ, বানর আর নানান পাখি আছে এ বনে। কদাচিৎ এ বনে বুনো শুকরের দেখা মেলে। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হবে ইঞ্জিন নৌকায়।

কুয়াকাটার কুয়াঃ
কুয়াকাটা নামকরণের ইতিহাসের পেছনে যে কুয়া সেটি এখনও টিকে আছে। তবে কয়েক বছর আগে অদূরদর্শী ও কুরুচিকর সংস্কারের ফলে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ার শুরুতেই প্রাচীন কুয়ার অবস্থান।

জনশ্রুতি আছে ১৭৮৪ সালে বর্মী রাজা রাখাইনদের মাতৃভূমি আরাকান দখল করলে বহু রাখাইন জায়গাটি ছেড়ে নৌকাযোগে আশ্রয়ের খোঁজে বেড়িয়ে পড়েন। চলতি পথে তারা বঙ্গোপসাগরের তীরে রাঙ্গাবালি দ্বীপের খোঁজ পেয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করেন। সাগরের লোনা জল ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মিষ্টি পানির জন্য তার এখানে একটি কূপ খণন করেন। এরপর থেকে জায়গাটি কুয়াকাটা নামে পরিচিতি পায়।

সীমা বৌদ্ধ মন্দিরঃ
কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনেই সীমা বৌদ্ধ মন্দির। কাঠের তৈরি এই মন্দির কয়েক বছর আগে ভেঙে দালান তৈরি করা হয়েছে। তবে মন্দিরের মধ্যে এখনও আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের প্রাচীন অষ্টধাতুর তৈরি বুদ্ধ মূর্তি।

কেরানিপাড়াঃ
সীমা বৌদ্ধ মন্দির থেকে সামনেই ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রাখানদের আবাসস্থল কেরানিপাড়া। এখানকার রাখাইন নারীদের প্রধান কাজ কাপড় বুণন। রাখাইনদের তৈরি শীতের চাদর বেশ আকর্ষণীয়।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরঃ
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায় রাখাইনদের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। এখানে আছে বড় একটি বৌদ্ধ মন্দির। কথিত আছে এ মন্দিরের ভেতরে আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তি। এছাড়া এখান থেকে সামান্য দূরে আমখোলা গ্রামে আছে এ অঞ্চলে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় বসতি।

কোন বিপদে পড়লেঃ কোন হোটেল হয়রানি করলে, রেষ্টুরেন্ট পচা খাবার দিলে বা গলাকাটা দাম রাখলে অথবা অন্য যে কোন ধরনের হয়রানির শিকার হলে দ্রুত ট্যুরিষ্ট পুলিশকে জানান। ফল পাবেন হাতে নাতে। কুয়াকাটা বীচে ট্যুরিষ্ট পুলিশের ক্যাম্প আছে। ওনারা অনেক কো-ওপারেটিভ। ট্যুরিষ্ট পুলিশের ফোন নম্বর : ০১৭৬৯-৬৯০৭৪০
Previous
Next Post »

Popular Posts