কি এক ভূতুড়ে পরিবেশ । ফোটা ফোটা পানির শব্দে আরো ভূতুড়ে হয়ে গেল পরিবেশটা । কোন কোলাহল নাই। একদম নেটওয়ার্কের বাহিরে । বিন্দুমাত্র শব্দ শুনা যাচ্ছে না । এমন সময় এক বিকট চিৎকার শুনে কেপে উঠি। পরে বুজতে পারি পিছন থেকে বন্ধুর ফাজলামো ছিল । বিশাল দুটি পাহাড়ের মাঝ দিয়েই চলেছে আমাদের পথ । ভেলায় করে সেই পথ পারি দিচ্ছি । এমন পরিস্থিতি বা পরিবেশ আমরা কল্পনা করে থাকি। কিন্তু দেবতাখুমে আপনার সেই কল্পনাকে বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারবেন।
|
রোয়াংছড়ির দেবতাখুম |
প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করতে পারবেন। মিশে যাবেন প্রকৃতির সাথে। যাওয়ার পথই আপনাকে বলে দিবে, স্বর্গের পথ কেমন হতে পারে।
|
রোয়াংছড়ির দেবতাখুম |
আদিবাসীদের ভাষ্যমতে, দেবতাখুম প্রায় ৫০ ফুট গভীর এবং ৬০০ ফুট লম্বা। আর দেবতাখুমে যাওয়ার পথে আপনি বোনাস হিসাবে পাবেন শীলবাধা ঝর্ণা। উদ্ভূত যার সৌন্দর্য। আর পথে পথে মুগ্ধকর মেঘমালা তো পাবেনই। আপনার জীবনের অন্যতম ট্রিপ হতে পারে এই দেবতাখুম।
|
রোয়াংছড়ির দেবতাখুম |
যেভাবে যাবেন :
বান্দরবন থেকে যেতে হবে রোয়াংছড়ি (বাস বা জীপ দিয়ে) । রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী যেতে হবে (জীপ বা সিএনজি দিয়ে) । কচ্ছপতলী আর্মিক্যাম্প থেকে পার্মিশন নিতে হবে । তারপর কচ্ছপতলী থেকেই গাইড নিয়ে ট্রেক শুরু করবেন । শীলবাধাপাড়ার কাছ থেকে ভেলা নিয়ে চলে যাবেন সেই স্বপ্নময় দেবতাখুমে।
|
রোয়াংছড়ির দেবতাখুম |
মনে রাখবেন
দেবতাখুম এখনো অনেক পরিষ্কার একটা জায়গা । তার পথে আপনি ময়লা পাবেন না বললেই চলে। সুন্দর একটা পরিবেশ। আর স্থানীয় মানুষ বা তাদের ভাষা নিয়ে হাসিতামাশা করে তাদের কষ্ট দিবেন না।