বর্ষাকালে মেঘালয়ে ও শিলংয়ে যাবেন যেভাবে

মেঘ, বৃষ্টি আর ঝরনার রাজ্যে ৩ দিন ২ রাত।
(বাজেট ট্যুর)
👉👉রুটঃ
ঢাকা>সিলেট>ডাউকি>চেরাপুঞ্জি >শিলং>ডাউকি>সিলেট>ঢাকা।
ট্যুরমেম্বারদের লক্ষ্য ছিল খুবই স্বল্পসময়ে এবং স্বল্প বাজেটে ম্যাক্সিমাম স্পট কাভার করা। তবে যাওয়ার ২/৩ দিন আগে থেকেই প্রচন্ড বৃষ্টি,তাই ট্যুর নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল যে এ পরিস্থিতিতে যাওয়া ঠিক হবে কিনা বা গেলেও সব স্পট মেঘের কারনে দেখতে পাবো কিনা।
যাই হোক সব জল্পনা-কল্পনার মধ্যে একটু রিস্ক নিয়েই ১২ জুলাই রাতে আমরা ৪ জন রওনা হই কাঙ্ক্ষিত গম্তব্যে 🏃। আমরা টিটিপাড়া( কমলাপুর) ইউনিক কাউন্টার থেকে রাত ১১.৪৫ মি. গাড়িতে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
বর্ষাকালে মেঘালয়ে ও শিলংয়ে  যাবেন যেভাবে

১ম দিনঃ
সকাল ৬ টায় সিলেট এসে পৌছলাম,,বাস থেকে নেমে চলে গেলাম সোবাহানীঘাট।সেখান থেকে জাফলংগামী লোকাল বাসে ( ভাড়া ৬০ টাকা) করে সকাল ৮.৩০মি. পৌছালাম তামাবিল স্থলবন্দর। নেমেই সকালের নাস্তা সেরে নিলাম। দুদেশের ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে ডাউকি বাজার পৌঁছালাম ১০.০০ টায়। টাকা এক্সচেঞ্জের (রেট ছিল ১০০ টাকা=৮০রুপি) কাজ শেষ করে ট্যাক্সি ঠিক করতে গেলাম,অামরা প্রথমদিন উমক্রেম,বড়হিলস,লিভিংরুট ব্রিজ,মাওলিনং ভিলেজ দেখে চেরাপুঞ্জির প্লান করেছিলাম কিন্তু ভাড়া খুবই বেশি চাচ্ছিলো হয়ত খুবই বৈরী অাবহাওয়ার জন্য,অার বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থাও হয়েছিল শোচনীয় । অবশেষে একটা মারুতি পেলাম ২৭০০ রুপিতে। ঝটপট গাড়ি ছেড়ে দিল,কিছুক্ষণ পরেই সামনে পরল উমগট নদীর উপর সাসপেনশন ব্রিজ,নদীতে প্রচন্ড স্রোত লক্ষ করলাম। জাফলংয়ের অদূরে যে ব্রিজটি দেখা যায় সেটাই সাসপেনশন ব্রিজ। আরো কিছু সময় পরেই সৌভাগ্য হল ট্যুরের প্রথম ফলস দর্শনের,ফলসটি একদম কাছ থেকে দেখা যায়,সত্যিকারে বাংলাদেশে যেসব ফলস এটা তার থেকে ভিন্ন,বেশ প্রশস্ত অার বৃষ্টির কারনে একদম ফুলে উঠেছিল এবং প্রচন্ড গর্জন ছিল,,খুব বাতাস থাকার কারনে ঝরনার রেনুর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা দূরহ হয়ে উঠছিল,কারন একদম ভিজে যাচ্ছিলাম।এরপর রওনা হলাম লিভিংরুট ব্রিজের উদ্দেশ্যে,পৌছে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে পরলাম,এই ফলসটির গর্জনও খুব বেশি মনে হলো। গাছের শীকর দিয়ে তৈরি একটি প্রাকৃতিক ব্রিজ, পাশেই বাঁশের অারেকটি সাঁকো বানানো,দুই ব্রিজের নিচ দিয়ে গেছে ফলসটি,এটি অনেক লম্বা এবং অপেক্ষাকৃত কম ঢালু,স্রোতও খুব বেশি নয় তবে সবমিলিয়ে ফলসটি দারুন।এরপর গেলাম মাওলিনং ভিলেজ,অসম্ভব সুন্দর সাজানো গোছানো, পরিস্কার একটি গ্রাম,একে বলা হয় এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম।এখানে অাছে রাত্রিযাপনের অনেক হোমস্টে,আছে ট্রি হাউসও।সকাল থেকে পুরো সময় জুড়েই ক্ষনে ক্ষনে বৃষ্টি হচ্ছিল। মাঝে অামরা হালকা খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।এরপরে রওনা হলাম বরহিলসের উদ্দেশ্যে কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টি, বরহিলসের রাস্তাও ছিল খুব খারাপ অার এদিকে বিকেল প্রায় গড়িয়ে আসার কারনে বরহিলসের প্লান বাদ দিয়ে আমরা চেরাপুঞ্জি রওনা হই,ড্রাইভার ও বলতেছিলো এসময়ের মধ্যে বরহিল গিয়ে সেখান থেকে যেতে রাত হয়ে যাবে আর সেক্ষেত্রে হোমস্টে পেতে সমস্যা হতে পারে তাই চেরাপুঞ্জিই চলে অাসি। ড্রাইভার একটি স্পট না যাওয়ার কারনে ২০০ রুপি কম নিল। ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা অার অামাদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী মেঘ-বৃষ্টিতো অাছেই।মেঘালয় আসবা আর বৃষ্টির দেখা পাবেনা না তা কি হয়???😀 একটা হোমস্টে পেলাম মোটামুটি কমেই,৪ জন একরুমে,৩ বেড (১ টি ডাবল,২ টি সিঙ্গেল) ১২০০ রুপিতে,হোমস্টেটি মোটামুটি ভালমানেরই ছিল,মালিকও খুবই ভাল ছিল।ফ্রেশ হয়েই বের হলাম ডিনার করতে কারন চেরাপুঞ্জিতে রাতে দোকানপাট ৮ টার দিকে বন্ধ হয়ে যায়।একটা খাবারের দোকানে ভাত খেয়ে চলে অাসলাম রুমে।রাত বেশি না বৃষ্টির গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পরলাম।
২য় দিনঃ
সকাল ৬ টায় উঠে দেখলাম ঝুম বৃষ্টি,ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পরলাম নাস্তা করতে।এদিন ছিল রবিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই নাস্তার দোকানপাট ও বন্ধ,,, টুকটাক খুললেও তা ১০ টার দিকে।অগত্যা রুমে এসে পরলাম,হোমস্টের মালিক অাংকেল খেয়াল করলেন আমাদের সমস্যাটি,তিনি তার বাসা থেকে আমাদের জন্য চা,বিস্কুট, সিদ্ধ ডিম নিয়ে আসলেন।এদিন ট্যাক্সিও অন্য দিনের থেকে কম পাওয়া যায়, এক্ষেত্রেও আমরা খুবই আন্তরিকতা পেলাম, তিনিই একটি পরিচিত ট্যাক্সি (২৭০০ রুপী) ফোন দিয়ে আমাদের ঠিক করে দিলেন।এদিন অামাদের প্লানে ছিল নোহকালিকাই ফলস,ইকোপার্ক,সেভেনসিস্টারস ফলস,মৌসমাই কেইভ,আরওয়াহ কেইভ,ডেইন্ঠেলেন ফলস,ওয়াকাবা ফলস,এলিফ্যান্ট ফলস দেখে শিলং শহরে রাত্রিযাপন।শুরু হলো বৃষ্টির সাথে যাত্রা, নোহকালিকাই ফলসে পৌছে দেখি ঘন মেঘ,এক হাত দুরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না,খুবই হতাশ লাগলো যে দেখতে পাবো কিনা,তবে অাল্লাহর ইচ্ছায় আনুমানিক ৩০ মি. পর হঠাৎ মেঘ চলে গেলে আমরা ফলসটির দেখা পেলাম,এক কথায় অপুর্ব, এটি মেঘালয়ের সবথেকে উঁচু ফলস।অসাধারণ এ ফলসটির পাশাপাশি অনেকগুলো ঝর্নাধারা,,,,এটি দেখে মনে হলো ট্যুর সার্থক এরপর চলে গেলাম ইকোপার্কে,এ পার্কটি পাহাড়ের উপরে তৈরি, এখান থেকে কয়েকটি ঝর্নার ধারা নেমে গেছে। সেখান থেকে গেলাম সেভেনসিস্টারস দেখতে, সেখানে গিয়েও দেখলাম মেঘে আচ্ছন্ন সব, অনেক অপেক্ষার পর ১ মি. জন্য দেখা পেলাম সেভেনসিস্টারসের।এককথায় অনবদ্য,চোখ ফেরানো দায়,সবুজ বনানীর মধ্যে দিয়ে সাতটি ধারা সাদাসুতোর মত নেমে আসছে দূরপাহাড় থেকে,,,,,,মেঘালয়ের সবগুলো ফলসের মধ্যে নোহকালিকাই এবং সেভেনসিস্টারসই সবথেকে বিখ্যাত এবং এ দুটিই সবথেকে উঁচু এবং দূর থেকে দেখতে হয়।এরপর যাই মৌসমাই কেইভে,এটা একটি প্রাকৃতিক গুহা,পাহাড়ের নিচ দিয়ে একপাশ থেকে শুরু আরেকপাশে এসে শেষ হয়েছে,গুহাটি অন্ধকার,মোবাইলের আলোই ভরসা,গুহাটি পাড়ি দিতে হলে হাটু সমান পানি এবং ভয়ংকর পথ পেড়োতে হবে,মাঝেমধ্যে পথ একদমই সরু,বেশি মোটা কারো না যাওয়াই ভাল😀।পরবর্তী স্পট আরওয়াহ কেইভ,এটি প্রায় ৩০০ মি. লম্বা,মৌসমাইের চেয়ে কয়েকগুন লম্বা এবং পেড়োতে কমপক্ষে ২০ মি. সময় লাগে।এগুহাটি বেশ প্রশস্ত এবং এখানে প্রায় ৩০ মিলিয়ন বছর আগের সামুদ্রিক ফসিল,সি সেল দেখতে পাওয়া যায়।গুহাটিতে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা আছে,এর অনেক শাখা গুহাও অাছে,তবে এটির শেষ মাথা বদ্ধ। এক কথায় গুহাগুলো ভয়ংকর সুন্দর।মাঝে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর ডেইন্ঠেলেন ফলস,এটি অসম্ভব সুন্দর একটি ফলস,,অনেক দূর থেকে মোটামুটি সমতল থেকে পাথরের মাঝদিয়ে প্রবাহিত হয়ে এসে খাড়া নিচে পতিত হয়েছে।এদিকে প্রায় বিকাল ৪.০০, বাকি আরো দুটো পয়েন্ট। দ্রুত ওয়াকাবার উদ্দেশ্যে গাড়ি ছাড়ল,এ ফলসটি অনেক নিচে নেমে দেখতে হয়,দ্রুত নেমে গেলাম,একদম কাছ থেকেই এটি দেখা যায়,সুন্দর এ ফলসটির উপরে চাইলে কেউ গোসল করে নিতে পারে।এদিকে ৫ টার পরে এলিফ্যান্ট ফলসে এন্ট্রি অফ,,,তাই এটি পরের দিনের জন্য রেখে দিতে হলো,ওদিকে শিলং শহরে সন্ধ্যার পর প্রচন্ড জ্যাম পরে,তাই দ্রুত শিলংয়ের দিকে চললাম।শিলং পৌঁছালাম ৭ টায়,আমরা পুলিশ বাজার নামলাম,,,,,একটা হোটেলে রুম পেলাম কয়েকটা হোটেল খুঁজে,, একরুম,বিশাল বেড,৪ জন অনায়াসে শোয়া যায়,,ভাড়া পড়েছে ১৪০০ রুপি,,,হোটেলে উঠে দ্রুত খেতে চলে গেলাম,হোটেলের একদম কাছেই মুসলিম হোটেলে খেয়ে নিলাম। শহরে কিছুক্ষণ ঘুরে কিছু কেনাকাটা সেরে রুমে অাসলাম ৯ টায়।উল্লেখ্য শিলংয়েও রাত ৯ টার মধ্যে সব কিছু বন্ধ হয় যায়।
হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ঐতিহাসিক ফাইনাল দেখে দিলাম ঘুম।
৩য় দিনঃ
সকালে যথারীতি বৃষ্টিকে সঙ্গী 😁 করেই ঘুম থেকে উঠলাম,ফ্রেশ হয়ে হোটেলে চেকঅাউট করে পুলিশ বাজার এসে নাস্তা সেরে একটি ট্যাক্সি নিলাম ৩০০০ রুপীতে এলিফ্যান্ট ফলস,লাইটলুম গ্রান্ড ক্যানিয়ন,ক্রাংসুরি ফলস হয়ে ডাউকি বাজারে চলে অাসবো এই প্লানে।চলে আসলাম এলিফ্যান্ট ফলস,এর তিনটি অংশ,,প্রাথমিক অবস্থায় হাতির আকৃতি ছিল বলে এর নাম দেয়া হয়েছিল এলিফ্যান্ট ফলস,পরবর্তীতে ভূমিকম্পে এর আকৃতি বর্তমান রুপ লাভ করে।এখানেও চাইলে গোসল করা যায়।এরপর চলে গেলাম লাইটলুম গ্রান্ড ক্যানিয়ন দেখতে,,দূর্ভাগ্যক্রমে মেঘের কারনে অসম্ভব সুন্দর এ ভ্যালীটি দেখতে পেলাম খুবই অল্প সময়ের জন্য,তবে আসা যাওয়ার পথে ভিউগুলোর সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।দুপুরের খাবার খেয়ে চললাম ক্রাংসুরি দর্শনে,এটি আগের সব ফলসের থেকে আলাদা,,,অনেক নিচে নেমে এটির কাছে পৌঁছাতে হয়,,,এর উপরের অংশটি সম্পুর্ন সমতল ১ মি. উচ্চতার একটি ফলস,সেটি কিছুদূর গিয়ে প্রচন্ড গতিতে নিচে পড়ছে।একদম কাছ থেকেই এটি দেখা যায়।ব্যতিক্রম এ ফলসটি যে কারোর মন জয় করে নিবে।এরপর ফেরার পালা,,,,এদিকে ৩ টা বাজে,৪ টার দিকে বর্ডারে ট্রাক ছাড়া শুরু হয়,তখন প্রচন্ড জ্যাম পড়ে তাই দ্রুত বর্ডারে পৌঁছাতে হবে,,ভাগ্য ভাল আমরা ৪.৩০ এ এসে ডাউকি বাজারে পৌছে টাকায় এক্সচেঞ্জ করে বর্ডারে এসে পৌছালাম, ইমিগ্রেশন শেষ করে বাংলাদেশে  ঢুকে পরলাম।তামাবিল থেকে আসার সময়ের মত একই বাসে সিলেটের উদ্দেশ্যে উঠে পরলাম।সিলেট এসে পৌছালাম রাত ৮ টায়,চলে গেলাম হোটেল পাঁচভাইয়ে,রাতের খাবার সেরে আবার একই ইউনিক গাড়ির টিকেট কেটে নিলাম রাত ১১.৩০ মি.,,,,সকাল ৪.৩০ মি. এসে পৌছালাম ঢাকা।😍
👉👉যাবতীয় খরচঃ ( পার হেড)
১. ট্যাক্স = ৫০০ টাকা।
২. ঢাকা-সিলেট ( আসা-যাওয়া) = ৯৪০ টাকা। ( ৪৭০+৪৭০)
৩. সিলেট- তামাবিল ( আসা- যাওয়া) = ১২০ টাকা। ( ৬০+৬০)
৪. ২ রাত হোটেল + ৩ দিন ট্যাক্সি ভাড়া+ প্রত্যেক স্পট খরচ ( টিকেট) =৩০০০ রুপী / ৩৭৫০ টাকা।
৫. খাওয়া খরচ সম্পূর্ণ ট্যুর=১২০০ টাকা।
--------------------------------------------------------------------------
টোটাল খরচ( পার হেড) = ৬৫০০ টাকা। (BDT)
👉👉কিছু তথ্য ও পরামর্শঃ
ট্যুর মেম্বার ৪/৮ জন হলে খরচ কমে যায়,৪ জনের জন্য ট্যাক্সি এবং ৮ জনের জন্য সুমো জিপ পাওয়া যায়।ড্রাইভার ভাল হলে ট্যুরও ভাল হয় তাই অবশ্যই আন্তরিক ড্রাইভার খুজবেন যা আপনাদের উপকারে আসবে এবং অবশ্যই ভালভাবে স্পট বলে নিবেন।বর্ষাকালই মেঘালয় ভ্রমণের উপযুক্ত সময়,হয়ত মেঘের কারনে ২/১ টা স্পট মিস করতে পারেন কিন্তু বর্ষায় আপনি ফলসগুলোর যে রুপ পাবেন তা অন্য সময় পাবেন না।সম্ভব হলে রবিবার এড়িয়ে প্লান করবেন,কেননা এসময় খাবার দোকানসহ বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকে,যানবাহন ও কম পাওয়া যায়। এ সময় সাথে অবশ্যই ছাতা,রেইনকোট,ঠান্ডাজনিত ঔষধপত্র সাথে রাখবেন।সব স্পটেই মোটামুটি এন্ট্রি ফি দিতে হয়,কোথাও কোথাও ক্যামেরা ফি ও লাগে। কিছু হালকা শীতের জামা নিয়ে যাবেন। চেরাপুঞ্জিতে খাবারে কিছু সমস্যা হতে পারে,সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক খ্রিস্টান তাই বেশিরভাগ দোকানেই শূকর বিক্রি হয়,,,সেক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে খুঁজে দেখতে হবে।রাত ৮ টারদিকে দোকানপাট বন্ধ হয় চেরাপুঞ্জিতে,,শিলংয়ে ৯ টার মধ্যে বন্ধ হয়।সন্ধ্যায় শিলংয়ে ঢুকতে গেলে প্রচুর
জ্যামে পরতে হয়।বর্ডারে ডলার দেখতে চাইতে পারে,সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডলার এনফোর্সমেন্ট ও নগদ ডলার নিয়ে যাবেন।বর্ডারে ঢোকা ও বের হওয়ার লাস্ট টাইম বিকাল ৫.৩০ মিনিট।
মেঘালয় মেঘ,বৃষ্টির রাজ্য তাই এখানে সারা বছরই কম-বেশি বৃষ্টি থাকে,সময় নিয়ে গেলে অারও অনেক স্পট আছে যেগুলো কাভার করতে পারবেন।
যাবতীয় ট্যুর বর্ননায় কোন অতিরঞ্জন নেই,ছবিও কোন প্রকার এডিট ছাড়াই দেয়া হয়েছে।
আরো ভিডিও এবং ছবি দেখতে চাইলে আমার Md NazRul Islam টাইমলাইন থেকে ঘুরে আসবেন দয়া করে।😁
ধন্যবাদ😍 এতসময় নিয়ে পড়ার জন্য,ভুলত্রুটি ক্ষমার🙏 দৃষ্টিতে দেখবেন।
বিঃদ্রঃ আমরা পরিবেশের ক্ষতি না করি,,,,প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
হ্যাপী ট্রাভেলিং। ট্রাভেলারদের জন্যই পৃথিবী। 
Previous
Next Post »

Popular Posts