ঘুরে আসুন সিলেটে : লালখাল,জাফলং,বিছানকান্দি ..

৮ তারিখ রাত ৯.৫০ টায় রওনা দিলাম ৬ জন। ৯.৫০ এর ট্রেণ ৩০ মিনিট দেরীতে রাত ১০.২০ এ ছেড়ে গেল। প্রথমদিন: সকাল ৬.০০টায় পৌঁছে নাস্তা করেই সারিঘাট গেলাম বাসে। ভাড়া নিল জনপ্রতি ৩৫ টাকা। এরপর সেখান থেকে রিজার্ভ অটো লালাখাল ঘাট(১৮০ টাকা রিজার্ভ) এখানে ১০০ টাকার ভাড়া ১৮০ টাকা দিয়ে ঠকেছি। এরপর নৌকাঘাটে ২ ঘন্টার জন্য নৌকা ভাড়া করলাম ৮০০ দিয়ে। জিরো পয়েন্ট,চা বাগান আর সুপারি বাগান ঘুরিয়ে আনলো। জিরো পয়েন্ট এর আগেই জিরো পয়েন্ট বলে ঘুরিয়া নিয়ে আসতে চাইলো কিন্তু আমাদের চিল্লাচিল্লি তে একদম জিরো পয়েন্টে নিয়ে গেল।

বিছানকান্দি, সিলেট
বিছানকান্দি, সিলেট
সেখানে বিএসএফ দাঁড়িয়ে ছিল। বলে রাখা ভালো লালখাল ২ ঘন্টা ঘুরার প্লেস না কিন্তু বৃষ্টির জন্য নীল ছিল না।এরপর অটো ১০০ টাকা দিয়ে রিজার্ব নিয়ে সারিঘাট। সেখান থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা করে বাসে জাফলং। মামাবাজার না নেমে ভুচ্ঞগ্রাম নামলাম। কেননা মামাবাজার অনেক কাদা ছিল। এরপর জাফলং হেঁটে হেটে ঘুরে মামাবাজার যেয়ে হোটেল গার্ডেনে উঠলাম ভাড়া ২ রুম ৯০০ টাকা। জেনারেটর ছাড়ে সন্ধ্যাবেলা থেকে।
জাফলং, সিলেট
জাফলং, সিলেট 

বিকালে জনপ্রতি ১০ টাকায়য় খেয়া পার হয়ে খাসিয়া পল্লী ঘুরে আসলাম। আসার সময় একইভাবে ১০ টাকা ভাড়া। রাতের জাফলং এক রাত না থাকা মানে অনেক কিছু মিস করা। রাতের জাফলং এক কথায় অসাধারণ। মন জুড়িয়ে যাবে। রাতে হালকা ঘুরে আবার হোটেলে গিয়ে ঘুম।দ্বিতীয় দিন:সকালে ঘুম থেকে উঠে হোটেল চেক আউট করে সিংগেল রুম ১৬০ টাকা দিয়ে ভাড়া নিয়ে ব্যাগ রাখলাম।এরপর নৌকা ঠিক করলাম ৫০০ দিয়ে যা জিরো পয়েন্ট এবং সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা ঘুরিয়ে আনবে। মাঝি খুব ভালো ছিল। তবে আমাদের ভূলের কারণেই ৫০০ দিতে হয়েছে। কেননা জিরো পয়েন্ট থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় নৌকা সংগ্রামপুঞ্জি যাওয়া যায়। আর এ কারণেই মাঝি ভালো ছিল ।
জাফলং, সিলেট
জাফলং, সিলেট 
এরপর এসব স্পট ঘুরে হোটেল থেকে ব্যাগ নিয়ে সরাসরি সিলেট। সিলেট কদমতলী বাস স্ট্যান্ডের পাশে হুমায়ুন চত্তরে হোটেল পাঁচ তারায় উঠলাম ৭৫০ দিয়ে ২ টা বড় বেডের রুমে। প্রতি বেডে ৩ জন অনায়াসে থাকা যায়। এত কমে এই হোটেল পাব চিন্তা করিনি। অনেক ভালো ছিল রুম। হোটেলে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে কাজীর বাজার ব্রীজ,শাহজালাল মাজার,ক্বীন ব্রীজ ঘুরে চলে আসি পাঁচ ভাইতে রাতের খাবার খেতে। এরপরে হোটেলে ফিরে এসে রাতে ঘুম
জার্নি বাই ট্রেন,সিলেট
জার্নি বাই ট্রেন,সিলেট
তৃতীয় দিন: টার্গেট বিছানাকান্দি সকালে ঘুম থেকে উঠেই রুম চেক আউট করে চলে গেলাম ৬ জনের জন্য লেগুনা ঠিক করতে যাব ঠিক তখনই এক সিএনজি বললো সে ৬ জন নিবে। তবে এয়ারপোর্ট এর আগে পর্যন্ত পিছনে ৪ জন কষ্ট করে বসতে হবে। ভাড়া ঠিক হইলো সারাদিন ১৪০০ টাকা। ড্রাইভার খুব ভালো ছিল। আমাদের অনেক হেল্প করেছিল। ওনি আমাদের একদম শেষ ঘাটে নিয়ে গেল বিছানাকান্দির। সেখানে নৌকা ভাড়া ঠিক করলাম ৭০০ দিয়ে অনেক দামাদামি করে। পরে অবশ্য ৮০ টাকা বখশিশ দিয়েছি। বিছানকান্দি গিয়ে সব প্রতীক্ষার অবসান হলো। এতে সুন্দর জায়গা যা বলে প্রকাশ করা সম্ভব না। দুপুরে ঐখানেই খেলাম। দেখলাম হোটেল হয়েছে কতগুলা। তারপর খেয়ে রওনা দিলাম রাতারগুল। সেখানে এসে সিণ্ডিকেট এর ফাঁদে পড়তে হলো । ১৮০০ এর নিচে নৌকা ভাড়া যাবেই না। অনেক অনুরোধ করে ১২০০ দিয়ে ভাড়া করলাম। ঘাটে গিয়ে দেখি পোস্টারে লেখা ৭৫০ টাকা।


এটা নিয়ে তর্কাতর্কি করলেও লাভ হলো না। রাতারগুল সম্পর্কে কিছু বলার নেই । মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম । সব শেষে সিলেট ফিরলাম রাত ৮.০০ টায় । এরপর রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১ টার এনা বাসে ঊঠলাম । ভোর ৫ টায় এসে নামলাম মহাখালী বাস স্ট্যান্ড । বলে রাখা ভালো যে ট্রেণের ফিরতি টিকেট ৩ দিন আগে গিয়েও পাই নি ।
ট্যুরে আমাদের ৬ জনের গ্রূপ প্রতিজনের ঢাকা-সিলেট-ঢাকা যাতায়াত ভাড়া,সিলেটের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ভাড়া,খাওয়া,হোটেল ভাড়া+অন্যান্য সহ ২৭৫০ টাকা খরচ হয়েছে । খরচ: ২৭৫০ টাকা(জনপ্রতি। ৬ জনের গ্রূপ আমাদের কিছু ভূল না হলে ২৫০০ তেই সব সম্পন্ন হতো । তবুও ভালো লেগেছে সিলেট । প্রেমে পড়ার মতো জায়গা ।
Previous
Next Post »

Popular Posts