ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ

মহেড়া জমিদার বাড়িঃ- টাঙাইলের বেশ কিছু জমিদার বাড়ির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহেড়া জমিদার বাড়ি। বর্তমানে এটি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশ ঘুরার জন্য।সব কিছুই গোছালো অনেক।ঢুকতেই সামনে একটি বিশাল পুকুর তার পাশেই টিকেট কাউন্টার।টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।এরপর জমিদার বাড়ির ৪ টি প্রাসাদ ( মহারাজা,আনন্দ,কালীচরণ ও চৌধুরি লজ) ও একটি জাদুঘর ও আছে।একদিনের ভ্রমনের জন্য অসাধারণ একটা জায়গা।জমিদার বাড়ির প্রায় সবকিছুই সাজানো গোছানো ও অনেক পরিস্কার।

জমিদার বাড়ি
জমিদার বাড়ি
মিষ্টি পট্টিঃ- মূলত ট্যুর টার উদ্দেশ্যে ছিলো চমচম খেতে আসা আবার ঢাকায় নিয়ে যাওয়া।টাঙাইলের বিখ্যাত চমচম খেতে হলে যেতে হবে পাচ আনি বাজারের মিষ্টি পট্টিতে।চমচম সহ অনেক রকমের অরিজিনাল মিষ্টি এখানে পাওয়া যায়।এখানকার ধলেশ্বরী নদীর পানি ব্যবহার করাতেই নাকি এই চমচম এতো বিখ্যাত।গৌর ঘোষের মিষ্টি নাকি এখানে সেরা অটোতে উঠলে তারাই নিয়ে যাবে।

যমুনা ব্রিজঃ- মিষ্টি পট্টি থেকে বের হয়ে চলে গেলাম শেষ বিকেলে সূর্যাস্ত দেখতে যমুনা ব্রিজ।নৌকাও আছে চাইলে নৌকায় করে ঘুরতে পারেন।অনেক সুন্দর একটা জায়গা,চমৎকার পরিবেশ যমুনার পাড়ে।
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ

যেভাবে যাবেনঃ
মহেড়া জমিদার বাড়ি ঃ- ঢাকা মহাখালী থেকে নিরালা/ধলেশ্বরী/বিনিময় /টাঙাইল গামী বাসে করে নাটিয়াপাড়ার আগে ডুবাইল বাস স্ট্যান্ড/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার এ নামতে হবে এরপর সেখান থেকে অটোতে মহেড়া জমিদার বাড়ি।
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ

মিষ্টি পট্টিঃ- মিষ্টি পট্টিতে যেতে হলে মহেড়া জমিদার বাড়ি থেকে সিএনজি তে ডুবাইল বাস স্ট্যান্ড সেখান থেকে বাসে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড।পুরাতন বাস স্ট্যান্ড নামলেই অটো আছে ওনাকে বললেই গৌর ঘোষের মিষ্টির দোকানে নিয়ে যাবে।

যমুনা ব্রিজঃ-মিষ্টির দোকান থেকে অটোতে করে নতুন বাস স্ট্যান্ড এরপর লোকাল বাসে যমুনা ব্রিজ রোডের সামনে নামাই দিবে সেখান থেকে ভ্যানে যমুনার তীড়ে। – আবার সেখান থেকে ভ্যানে বঙবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন- সেখান থেকে সন্ধ্যার লালমনী/পদ্মা এক্সপ্রেসে/ঢাকাগামী যেকোনো ট্রেনে ঢাকা।চাইলে বাসেও আসতে পারবেন।
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ
ঘুরার জন্য জমিদার বাড়ি ও যমুনা ব্রিজ
খরচঃ- আমরা ৬ জন হওয়ায় মোটামোটি কম খরচ হইছে।আর বাসা ক্যান্টনমেন্টে হওয়ায় আমরা এম ই এস থেকে বাসে উঠি।
৬ জনের খরচ বাসা থেকে এমইএস (২০) এমইএস থেকে – ডুবাইল (৫০০) ডুবাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে মহেড়া – (৯০)(একজন ১৫ টাকা) মহেড়ায় প্রবেশ টিকেট – (৪৮০)(একজনের ৮০ টাকা টিকেট আগে ৫০ টাকা ছিলো) মহেড়া থেকে ডুবাইল (৯০) ডুবাইল থেকে পুরাতন বাস স্ট্যান্ড (৬০) (২০ টাকা চাইতে পারে স্টুডেন্ট ভাড়া ১০ টাকা) পুরাতন বাস স্ট্যান্ড থেকে নিরালা মোড় /মিষ্টির পট্টি- -মিষ্টির পট্টি থেকে নতুন বাস স্ট্যান্ড – অটো রিজার্ভ (২০০) নতুন বাস স্ট্যান্ড এ লাঞ্চ ৭৪০ টাকা!!! নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে যমুনা ব্রিজ – (১৫০)(একজন ৩০ করে চাইবে বেশিজন থাকলে কমাতে পারবেন।তবে সার্ভিস খুবই খারাপ)। ভ্যানে যমুনা ব্রিজ – যমুনা ব্রিজ থেকে স্টেশন (রিজার্ভ ২৩০ টাকা) ৬ঃ৩০ এর লালমনি এক্সপ্রেসে ঢাকা (৪০০)(টিকেট কাটি নাই আমরা ভাড়া ১১০০ চাইছিলো অনেক কথা বইলা টিটিকে ৪০০ টাকায় রাজী করছি। মোট খরচঃ- ৩১০০ প্রায়। (পার পারসন ৫০০-৫২০টাকা)। সাথে যতজন যাবেন সে হিসেবে খরচ কিছু কম বেশি হবে।মেম্বার বেশি থাকলে মহেড়া থেকে রিজার্ভ সিএনজি নিবেন খরচ কম ই হবে,সময় ও বাচঁবে। আরো যেসব যায়গায় যেতে পারেনঃ- আতিয়া মসজিদ,ধনবাড়ি জমিদার বাড়ি,পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি,মধুপুর গড়,মাওলানা ভাষানী বিশ্ববিদ্যালয়, ডিসি লেক।তবে এগুলো একদিনে সর্বোচ্চ ২-৩ টি জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন। বিদ্রঃ- যেখানেই যাবো পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো।দেশের উন্ননে সহায়তা করবো। হ্যাপি ট্রাভেলিং
Previous
Next Post »

Popular Posts